দেখে আসুন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিজড়িত সৌধ ও স্থানসমূহ

জাতীয় স্মৃতিসৌধ: ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে সাভারের নবীনগরে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এটি নির্মিত হয়। ঢাকা থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধের দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। এর স্থপতি সৈয়দ মঈনুল হোসেন। স্মৃতিসৌধের উচ্চতা ১৫০ ফুট। সাতটি সমদ্বিবাহু ত্রিভুজাকৃতি সমন্বয়ে স্মৃতিসৌধ গঠিত হলেও স্তম্ভগুলোর উচ্চতা ও ভূমির ক্ষেত্রফলে রয়েছে ভিন্নতা। সৌধের স্তম্ভগুলো মাঝখান থেকে মোড়ানো এবং ধারাবাহিকভাবে সাজানো। স্থাপত্যটি পুরোপুরি কংক্রিটের তৈরি। স্মৃতিসৌধের দিকে তাকালেই যেন দৃশ্যমান হয়ে ওঠে ১৯৭১ সালে আমাদের বিজয়ের গৌরবগাথা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও দেশের জন্য অকাতরে প্রাণ বিলিয়ে দেয়া লাখো শহীদের মুখ। স্মৃতিসৌধের পুরো কমপ্লেক্সটি ১০৮ একর। জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত সৌধের পাশেই বেশ ক’টি গণকবর ও একটি প্রতিফলন সৃষ্টিকারী জলাশয় আছে। এই স্মৃতিসৌধের চারদিক ঘিরে রয়েছে সুন্দর গাছপালা ও বাগান। আপনার সন্তানকে নিয়ে এখানে বেড়ানোর পাশাপাশি জানাতে পারেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কথা। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এটি খোলা থাকে। ঢাকার গুলিস্তান ও গাবতলী থেকে ধামরাই ও মানিকগঞ্জের যে কোনো লোকাল বাসে আসতে পারেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।

রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ: মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রথম আবিষ্কৃত বধ্যভূমির নাম ‘রায়েরবাজার বধ্যভূমি’।. বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ঠিক দু’দিন আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরাজয় সুনিশ্চিত দেখে অসংখ্য শিক্ষক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের হাত-পা-চোখ বেঁধে গভীর রাতে ইটখোলার সামনে এ বধ্যভূমিতে এনে নির্মমভাবে হত্যা করে। এই বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে ঢাকার মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে বেড়িবাঁধে স্থপতি ফরিদউদ্দিন আহম্মেদ ও জামি আল-শফি’র নকশা অনুযায়ী দৃষ্টিনন্দন সৌধটি নির্মিত হয়েছে। এ বধ্যভূমি সৌধের দেয়ালের বুক চিরে ৬ দশমিক ১০ মিটার বাই ৬ দশমিক ১০ মিটার বর্গাকৃতির একটি জানালা রয়েছে, যা দিয়ে সৌধের পেছনের আকাশ নানা বর্ণরূপ ধারণ করে ধরা দেয় দর্শনার্থীর চোখে। দেয়ালের সামনে একটি কৃত্রিম জলাশয় রয়েছে। এই জলাশয় থেকেই উঠে এসেছে ৩৩ ফুট উঁচু গ্রানাইটের একটি কালো স্তম্ভ। যা এখানে আসা দর্শনার্থীদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে একাত্তরের সেই কালরাতে। রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ দর্শনার্থীদের জন্য সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকে।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর: রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য, বীরত্ব, সংগ্রাম ও ত্যাগের চিহ্ন বুকে ধারণ করে দাঁড়িয়ে আছে এ জাদুঘর। এখানে মোট ৬টি গ্যালারি রয়েছে। প্রথম গ্যালারিতে প্রদর্শিত হয়েছে ব্রিটিশ শাসন ও প্রাচীন বাংলার ইতিহাস। দ্বিতীয় গ্যালারিতে ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান পর্বের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। তৃতীয় গ্যালারিতে প্রদর্শিত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, শরণার্থী এবং অস্থায়ী সরকারের রেকর্ডপত্র। চতুর্থ গ্যালারিতে মুক্তিযুদ্ধের বীরযোদ্ধাদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র ও অন্যান্য স্মারক তুলে ধরা হয়েছে। পঞ্চম গ্যালারিতে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহার্য অস্ত্র আর তাদের আত্মত্যাগের কাহিনী। শেষ গ্যালারিতে আছে পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণ আর তার আগে তাদের এবং রাজাকারদের হত্যাকাণ্ডের নিদর্শন। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা। রোববার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’ ভাস্কর্য: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোডের ব্রিটিশ কাউন্সিল ছাড়িয়ে সামান্য দক্ষিণে ভাস্কর শামীম সিকদার ত্রিকোণাকৃতির বাগানে তৈরি করেছেন ‘স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ভাস্কর্য। এখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের নেতা হিসেবে সবার উপরে অবস্থান দেয়া হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন এই ভাস্কর্য অনেকেই মুগ্ধ নয়নে দেখেন। বিশাল এলাকাজুড়ে সাজানো আছে দেশের সেরা মানুষদের আবক্ষ ভাস্কর্য। এর মধ্যে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কবি কাজী নজরুল ইসলাম, বাউল কবি লালন ফকির, শেরে বাংলা, মওলানা ভাসানী, শিল্পী-সাহিত্যিক ও হাছন রাজার মতো কৃতী বঙ্গ সন্তানের ভাস্কর্য রয়েছে। ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’ ভাস্কর্যটি প্রায় ৭০ ফুট উঁচু।

শিখা চিরন্তন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনের বহু স্মৃতিবিজড়িত স্থান। একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু এ উদ্যানে ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বলে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৬ ডিসেম্বর এখানেই আÍসমর্পণ করে। আগামী প্রজন্মের কাছে জাতির এ ঐতিহাসিক স্মৃতি ধরে রাখার লক্ষ্যে এ উদ্যানটিতে ১৯৯৭ সালে শিখা চিরন্তন স্থাপন করা হয়। এবং একই সঙ্গে সেখানে স্বাধীনতা স্তম্ভের গ্লাস টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের পর স্বাধীনতা স্তম্ভের গ্লাস টাওয়ার বর্তমানে তৈরি হয়েছে। স্থপতি মেরিনা তাব্াসসম ও কাশেফি মাহাবুব চৌধুরীর নকশায় ১৫০ ফুট দীর্ঘ গ্লাস টাওয়ার নির্মাণ করা হয়। সূর্যের আলোতে টাওয়ারের আলোর বিভিন্ন প্রতিফলন ঘটে। এর পাশেই রয়েছে জনতার দেয়াল নামে ২৭০ ফুট দীর্ঘ ম্যুরাল বা দেয়াল চিত্র। এটি ইতিহাসভিত্তিক টেরাকোটার পৃথিবীর দীর্ঘতম ম্যুরাল। এই ম্যুরালে ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।

ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ: মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে লড়াইয়ের এক অবিস্মরণীয় সাক্ষী। ১৯৭১-এর অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণসহ মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনাকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে মেহেরপুর জেলা শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে মুজিবনগরে নির্মিত হয়েছে ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ’।. প্রথম মন্ত্রিপরিষদ যেখানে শপথ গ্রহণ করেছিল স্মৃতিসৌধটি সেখানে নির্মিত হয়েছে। ১৬০ ফুট ব্যাসের গোলাকার স্তম্ভের ওপর ২৩টি কংক্রিটের দেয়ালের সমন্বয়ে এ সৌধটি তৈরি। এ স্মৃতিসৌধটি নকশা করেন স্থপতি তানভীর করিম। সৌধটির পাশেই রয়েছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভাস্কর্য। একটি বিরাট মানচিত্রে ভাস্কর্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময় বেনাপোল, বনগাঁও, নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতের উদ্দেশে শরণার্থীদের স্রোতের দৃশ্য। মানচিত্রের বাইরে রয়েছে ৭ মার্চের ভাষণদানরত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, ২৫ মার্চের কালরাত্রি, পাকহানাদার বাহিনীর নারী নির্যাতন, মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং পাকিস্তানি বাহিনীর আÍসমর্পণের ভাস্কর্য। ৩০ লাখ শহীদের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে বসানো হয়েছে ৩০ লাখ পাথর।

জল্লাদখানা বধ্যভূমি: মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে পাওয়ার হাউস সংলগ্ন জুট পট্টির মাথায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বড় বধ্যভূমি ‘জল্লাদখানা বধ্যভূমি’। ১৯৭১ সালে জনবিরল এলাকায় এ পাম্প হাউসটিকে বধ্যভূমি হিসেবে বেছে নিয়েছিল পাক বাহিনী ও তাদের দোসররা। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ‘জল্লাদখানা’ নামে পরিচিত ওয়াসার এই পরিত্যক্ত পাম্প হাউসের ৩০ ফুট নিচে খনন চালিয়ে ৭০টি মাথার খুলি, ৫ হাজার ৩৯২টি অস্থিখণ্ড এবং শহীদদের ব্যবহৃত নানা সামগ্রী পাওয়া যায়। শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে ও একাত্তরের ঘাতকদের নির্মম অত্যাচারের বিষয়ে নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ট্রাস্ট (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর) নির্মাণ করেছে এ স্মৃতিপীঠ। জল্লাদখানা বধ্যভূমি ঘেঁষে কাচের ঘেরা পাত্রে রাখা আছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার বধ্যভূমির পবিত্র মাটি। সে মাটি অনেক রক্তক্ষয়ী ইতিহাসের সাক্ষী। দক্ষিণের দেয়ালে প্রস্তর ফলকে লেখা রয়েছে বিভিন্ন জায়গার নাম, যেখানে গণমানুষেরা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন জীবন। পূর্বপাশে রয়েছে টেরাকোটা ইট ও লোহার সমন্বয়ে তৈরি শিল্পী রফিকুন নবী ও মনিরুজ্জামানের যৌথভাবে করা একটি ভাস্কর্য।

শাবাশ বাংলাদেশ: ‘শাবাশ বাংলাদেশ’ ভাস্কর্য মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ভাস্কর্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রবেশ দ্বারের পাশে এবং সিনেট ভবন সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ছাত্র-শিক্ষকদের স্মৃতি ধরে রাখতে তৈরি হয় ‘শাবাশ বাংলাদেশ’ ভাস্কর্য। ৬ ফুট বেদির ওপর স্থাপিত রয়েছে রাইফেল হাতে দু’জন মানুষের ভাস্কর্য। ভাস্কর্যের মূল দুটি অবয়বের পেছনে রয়েছে বাংলাদেশের পতাকার একটি ভাস্কর্য ফরম। এর উচ্চতা মাটি থেকে ৩৬ ফুট, যা পুরো দেশটাকে প্রতিনিধিত্ব করছে। বিখ্যাত শিল্পী নিতুন কুণ্ড এই ভাস্কর্যটি তৈরি করেন। ১৯৯২ সালের ১০ ফেব্র“য়ারি শহীদ জননী বেগম জাহানারা ইমাম ভাস্কর্যটি উন্মোচন করেন।

মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ: ২৫ মার্চের পর থেকে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকহানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নির্মমভাবে নিহত বুদ্ধিজীবী শহীদদের পূর্ণ স্মৃতি স্মরণে মিরপুর-১ নম্বর মাজার রোডে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। এখানে শুয়ে আছেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা। কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধের আদলে এখানে ৪টি স্তম্ভের সাহায্যে একটি স্মৃতিসৌধ গড়ে তোলা হয়েছে। এ স্মৃতিস্তম্ভের মাঝে বসানো হয়েছে শ্বেত পাথরের তৈরি একটি ফলক। স্তম্ভের চারপাশ দিয়ে নেমে গেছে সিঁড়ি। স্তম্ভ ও দেয়াল সবই লাল ইটের তৈরি। ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে এ স্মৃতিসৌধ ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। ১৯৭২ সালের ২২ ডিসেম্বর এ স্মৃতিসৌধের ফলক উন্মোচন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ সৌধটির স্থপতি মোস্তফা হারুন কুদ্দুস।

অঙ্গীকার: চাঁদপুর জেলার মুক্তিযোদ্ধা সড়কের পাশের লেকে হাসান আলী সরকারি হাইস্কুল মাঠের সামনে একাত্তরে শহীদ স্মরণে নির্মিত হয়েছে ‘অঙ্গীকার’।. অপরাজেয় বাংলা’র শিল্পী সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ ভাস্কর্যটির স্থপতি। সিমেন্ট, পাথর আর লোহা দিয়ে তৈরি ভাস্কর্যটিতে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা স্টেনগান ঊর্ধ্বে ধরে যেন জানিয়ে দিচ্ছেন আমরা অঙ্গীকার রক্ষা করেছি। চাঁদপুরের তৎকালীন জেলা প্রশাসক এসএম সামছুল আলমের প্রচেষ্টায় ১৯৮৯ সালে দৃষ্টিনন্দন এ ভাস্কর্যটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।

অপরাজেয় বাংলা: বাংলাদেশের বিখ্যাত ভাস্কর্যের একটি হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনের চত্বরে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য অপরাজেয় বাংলা। ভাস্কর্যটি তৈরি করেছেন সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ। ৬ ফুট উঁচু বেদির উপর নির্মিত মূল ভাস্কর্যটি ১২ ফুট লম্বা। ভাস্কর্যটি অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদীদের প্রতীক হিসেবে কাজ করে। এ ভাস্কর্যটির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের একটা সার্বিক রূপ তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। ভাস্কর্যটিতে আছেন একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র যিনি যুদ্ধে যাচ্ছেন, ফার্স্ট এইড বাক্স হাতে একজন নারী এবং একজন সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা।