১৯৮৭ সালে নিউ মেক্সিকোর স্থানীয় টিভি চ্যানেলের এম আর টিভি একটি টিভি সাক্ষাৎকার নেয়। নাম পরিচয় গোপনকারী এক ব্যক্তি দাবি করেন- তিনি অজঊঅ ৫১ নামে এক মরুভূমির মাঝে একটি সামরিক বেসে একটি ফ্লাইং সসার নিয়ে গবেষণা করেন। ওই বেসের প্রধান তাকে বলেন, এটি ভিনগ্রহ থেকে পৃথিবীতে এসেছিল। আরোহীদের হত্যা করে ইউএস আর্মি এটা দখল করে নিয়েছে। কিন্তু তারা এর কার্যকলাপ বুঝতে ব্যর্থ হন। তাই একজন পদার্থবিজ্ঞানীর সহায়তা চান মেজর। তিনি দাবি করেন, ওই আকাশযান কোনো শব্দ ছাড়াই উত্তোলন বা অবতরণ করা সম্ভব। তিনি এও দাবি করেন, সেখানে আরও একটি উন্নত যন্ত্র রয়েছে যার কার্যকলাপ তিনি বুঝতে পারেননি। সেখানে সেই যন্ত্রের ভেতরে একটি গোলাকার কক্ষ, যার মাঝে রয়েছে গোলাকার একটি প্যানেল। আর সেই গোলাকার প্যানেলের উপরে রয়েছে একটি বৃত্ত, যা ছাদ থেকে ঝুলছে। এই বৃত্তাকার যন্ত্রটিই বোধ হয় ফাইং সসারের মাথা। বেস কমান্ডার মেজর হেল দাবি করেন, ওই এলাকার উপরে আরও ফ্লাইং সসার আসে। তিনি ওই পদার্থবিজ্ঞানীকে সতর্ক করে দেন- কেউ যেন এ বিষয়ে না জানে। কিন্তু বিজ্ঞানী তার বন্ধুদের জানিয়ে দেন। তখন মেজর তাকে কাজ থেকে বহিষ্কার করেন এবং শাসিয়ে যান। তার কিছুদিন পর তাকে হত্যা করতে গুলি ছোঁড়া হয়। তাই তিনি টিভির শরণাপন্ন হয়েছেন। তিনি জানান BDGdI দেখতে হলে AREA 51-B উপযুক্ত স্থান। এর অনেক প্রমাণও আছে- AREA 51-এর ১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে থাকে অস্ত্রধারী সৈন্য। কেউ ক্যামেরা নিয়ে ঢুকতে পারে না। গুলি করার নির্দেশ আছে। Discovery Channel-এর ক্যামেরায় রাতের বেলা অজানা আলো AREA 51-এর উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার দৃশ্য রেকর্ড আছে। তবে কর্তৃপক্ষ অজঊঅ ৫১ কে মানচিত্রে স্থান দেননি এবং তাকে হাইপারসনিক বিমানের গবেষণাগার হিসেবে চিহ্নিত করে। ১৯৬০ সালের সেপ্টেম্বর, মাঝ রাতে আমেরিকার নিউ হ্যাম্পশায়ারে নির্জন পথ ধরে হেঁটে আসছিল নরম্যান মাসকোরোলা নামের এক যুবক। হঠাৎ অবাক হয়ে দেখল- খোলা মাঠের উপর একটা বিরাট জিনিস, যার ব্যস প্রায় ২৫ মিটার, মাটি থেকে সামান্য উপর দিয়ে এগিয়ে আসছে। গোলাকার বস্তুর পরিধি ঘিরে উজ্জ্বল আলোর মালা। নরম্যান ভয়ে রাস্তার পাশে লুকালো। তারপর দেখল, সেই অদ্ভুত জিনিসটা আকাশে চক্কর দিয়ে হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে গেল। ১৯৬৪ সালে দু’টি ঘটনা শুধু আমেরিকা নয়, গোটা পৃথিবী জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করল। সেই বছরের ২৪ এপ্রিল নিউ মেক্সিকোর সোকরাতে সন্ধ্যাবেলায় এক টহলদার পুলিশ দেখতে পেলেন, রাস্তা থেকে প্রায় দুই হাজার ফুট দূরে সবুজ আগুনের একটি শিখা। সাহস করে একটু সামনে এগিয়ে গিয়ে পুলিশটি দেখলেন- প্রায় ২০ ফুট চওড়া অর্ধ গোলাকার বস্তু দাঁড়িয়ে আছে চারটি পায়ার উপর ভর করে। একটু কাছে যাওয়া মাত্র সেটা প্রচণ্ড গর্জন করে শূন্যে উড়ে গেল। তার নিচ থেকে বেরিয়ে আসে নীলচে আগুন। পুলিশ ভদ্রলোক ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন নরম মাটির উপর চারটি গভীর গর্ত। সেই রহস্যময় যানের চার পায়ের দাগ। ইউএফও নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। অনেক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এ বিষয়ে তিনটি গ্রহণযোগ্য তত্ত্ব পাওয়া গেছে। সেগুলো হল-
১. ইউএফও আসলে একটা ষড়যন্ত্র বা কন্সপেরিসি। এগুলো মার্কিন কিংবা সোভিয়েত সরকারের তৈরি সুপারসনিক কিংবা হাইপারসনিক বিমান। এরকম দ্রুতগতির বিমান আমেরিকা তৈরি করতে সক্ষম এবং রাডারকে তা ফাঁকি দিতে পারে। ‘এফ-১১৭ নাইট হক’ এ ধরনের বিমান। এছাড়া নাসাও এ ধরনের বিমান তৈরি করছে।
২. এটি বহির্জাগতিক বুদ্ধিমান প্রাণীদের তৈরিকৃত ও পরিচালিত। এটি নিঃশব্দে চলতে পারে। এটা অতি উন্নত সভ্যতার উদাহরণ। মানুষের চেয়ে কমপক্ষে ১০হাজার বছরের অগ্রগামী যে সভ্যতা। কেননা ২১৬ খ্রিস্টপূর্বে রোমেও ফ্লাইং সসার দেখা গিয়েছিল। তাহলে যিশুখ্রিস্টের জন্মের বহু আগে ভিনগ্রহীরা মহাকাশবিদ্যা অর্জন করেছিল! আন্তঃনাক্ষত্রিক যোগাযোগ স্থাপনেও সক্ষম হয়েছিল!
৩. ইউএফও একটি ইলুউশন। ১৯৪৮ সালে মার্কিন বিমানবাহিনীতে এ নিয়ে তদন্ত প্রকল্প শুরু হয়। তার নাম চৎড়লবপঃ ইষঁব ইড়ড়শ. তখন থেকেই চালু হল ইউএফও। দিনে ও রাতে নানা সময়ে সেগুলো দেখা গেছে। অনেকে ছবি তুলেছে তাদের। সমস্ত ঘটনা বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বললেন, ৯০% ইউএফও হল একদম জানা জিনিস। মানুষ ভুলভাবে সেগুলোর ব্যাখ্যা করেছে। যেমন অনেক উঁচু দিয়ে উড়ে যাওয়া জেট প্লেনের গায়ে ঠিকরে পড়া সূর্যের আলো কিংবা বাতাসে তাপমাত্রার জটিল পরিবর্তনে ঘটে যাওয়া কিছু কিছু বিষয়কে ইউএফও বলে চিহ্নিত করা হয়। তাহলে ১৯৬০ সালে কী নেমেছিল নরম্যানের সামনে? কী দেখেছিলেন ১৯৬৪ সালে সেই পুলিশ অফিসার? কে বা কারা তৈরি করে উড়ন্ত চাকতি? কেনই বা অজঊঅ ৫১ এত গোপনীয়?