ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ

ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের আওতায় ১৯৯৯ সালের মে মাসে রেজিস্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি কর্তৃক নিবন্ধিত ব্যাংকিং কোম্পানি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। একজন চেয়ারম্যান এবং একজন ভাইস-চেয়ারম্যানসহ ১১ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংটির নীতি নির্ধারণ করে থাকে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যাংকটির প্রধান নির্বাহী। ২০০৯ সালের শেষে ব্যাংকটির মোট জনবল ১০৩৯ এবং শহরাঞ্চলেই ৩৯টি শাখায় এর কর্মকান্ড ব্যাপৃত। ব্যাংক ব্যবসায় যাবতীয় ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার দিকে ব্যাংকটির দৃষ্টি বিশেষভাবে নিবন্ধ এবং সম্ভাব্য অস্পষ্টতা কিংবা অস্বচ্ছতার ক্ষেত্রেও মূল্যমানের উপর যথাযথ প্রতিফলনে ও হিসাবায়নে ব্যাংকটি বিশেষভাবে যত্নবান। অর্থায়নের ক্ষেত্রে ব্যাংকটি মূলত ট্রেডিং ব্যবস্থায় পুঁজি সরবরাহে গুরুত্ব দিয়ে থাকে, ব্যাংকের মোট অর্থায়নের শতকরা প্রায় ২১ ভাগ লগ্নী এ খাতে রয়েছে। পুঁজি সরবরাহ এবং দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ প্রদান উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাংকটি অর্থায়ন করে থাকে। যেহেতু দীর্ঘ মেয়াদি অর্থায়নের তুলনায় স্বল্প মেয়াদি অর্থায়নের ঝুঁকি কম সেহেতু ব্যাংকটি ঝুঁকি সীমিত রাখার ব্যাপারে আগ্রহী। শিল্প খাতে অর্থায়নের ক্ষেত্রে ব্যাংক মূলত বস্ত্র ও পোষাক নির্মাণ খাতকে প্রধান্য দিয়ে থাকে। এই দুই খাতে ব্যাংক পোর্টফলিও ঋণের প্রায় ৩১ ভাগ অর্থ বিনিয়োগকৃত হয়। ওয়ান ব্যাংক সিমেন্ট উৎপাদন ও যোগাযোগ খাতে অর্থায়নেও সংশ্লিষ্ট।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংকটি উদ্ধৃত-অনুদ্ধৃত উভয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগে সতর্কতার সাথে অংশ গ্রহণ করে। ব্যাংকটি ক্রমশ জাহাজ ভাঙ্গা ও স্টিল রি রোলিং খাতে তাদের পূর্বেকার বিনিয়োগ থেকে সরে আসার ব্যাপারে সতর্ক পদক্ষেপ নিচ্ছে। প্রকারান্তরে তৈরি পোশাকখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ব্যাংকটি নন-ফান্ডেড ব্যবসায় মুনাফা অর্জনে সাফল্য লাভ করছে।

২০০৮ সালে ব্যাংকটির পরিচালনা দক্ষতা এবং সন্তোষজনক তারল্য পরিস্থিতির কারণে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড-এর মূল্যায়ন অনুযায়ী ওয়ান ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদি এ-১ এবং স্বল্প মেয়াদি এসটি-২ অর্জন করে।

ওয়ান ব্যাংক এটিএম সুবিধা ও ই-ব্যাংকিং চালুর ক্ষেত্রেও সফলতা অর্জন করেছে।
[মোহাম্মদ আবদুল মজিদ - বাংলাপিডিয়া]