ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে ১৯১৩ সালের কোম্পানি আইন অনুযায়ী ১৩ মার্চ ১৯৮৩ সালে নিবন্ধিত হয় এবং ২৮ মার্চ ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়ে ৩০ মার্চ ১৯৮৩ থেকে দেশের তথা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম সুদমুক্ত ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। ব্যাংকটির দেশি-বিদেশি স্পন্সরগণের মধ্যে আছেন ২২ জন বাংলাদেশী ও বাংলাদেশ সরকার এবং ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ও মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশসমূহের ১৩টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এর মূলধনের ৫৯.৫৮ ভাগ অংশীদার ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ও কয়েকটি বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ৪০.৪২ ভাগ অংশীদার বাংলাদেশী উদ্যোক্তা ও শেয়ারহোল্ডারগণ। ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ শেষে ব্যাংকটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন এবং রিজার্ভ ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়ায় যথাক্রমে ১০০০০ মিলিয়ন, ৬১৭৮ মিলিয়ন ও ১৩৯২৮ মিলিয়ন টাকা। ব্যাংকটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ-এ তালিকাভুক্ত। এর প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত।
ইসলামী ব্যাংক ইসলামী শরীয়াহর আলোকে মুদারাবা, মুশারাকা, বাই-মুরাবাহা, বাই মুয়াজ্জাল, বাই-সালাম এবং হায়ার পারচেজ-এর ভিত্তিতে ব্যাংকিং ব্যবসা ও লেনদেন সম্পাদন করে। এছাড়া ব্যাংক কোম্পানি আইনের অধীনে শরীয়াহ বোর্ডের সুপারিশ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন অনুযায়ী যাবতীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকিং সেবাও প্রদান করে। ব্যাংকের আমানত স্কীমসমূহের মধ্যে মুদারাবা সঞ্চয়ী আমানত, মুদারাবা বিশেষ নোটিশ আমানত, মুদারাবা মেয়াদি আমানত (৬ থেকে ৩৬ মাস মেয়াদি), মুদারাবা হজ্জ সঞ্চয়ী আমানত, মুদারাবা বিশেষ সঞ্চয়ী (পেনশন) আমানত এবং মুদারাবা সঞ্চয়ী বন্ড (৫ থেকে ৮ বৎসর মেয়াদি) উল্লেখযোগ্য। ব্যাংকটির বিনিয়োগ স্কীমসমূহ হচ্ছে মুনাফায় অংশীদারিত্ব, যৌথ প্রকল্পে মূলধন বিনিয়োগ এবং স্থাবর সম্পত্তি, গৃহায়ন, পরিবহন, কৃষি, আমদানি-রপ্তানি, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক খাতে অর্থসংস্থান।
২৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিচালক পর্ষদ ব্যাংকটির সার্বিক কার্যক্রমের তদারকি করে এবং এর নীতি নির্ধারণ করে। ব্যাংকের কার্যক্রম ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী পরিচালনার জন্য একটি ১০ সদস্যবিশিষট ‘শরীয়াহ কাউন্সিল’ আছে। ২০০৯ শেষে ব্যাংকের মোট শাখা ২৩১টি এবং ৫৯৩০ জন কর্মকর্তা এবং ৩৬৫৮ জন কর্মচারীসহ মোট জনশক্তি ৯৫৮৮ জনে দাঁড়ায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্যামেল রেটিং হিসাব মতে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের নগদ জমা অর্থের পরিমাণ বেশি। লন্ডনভিত্তিক পাক্ষিক পত্রিকা ‘গ্লোবাল ফিন্যান্স’ ১৯৯৯ ও ২০০০ সালে ইসলামী ব্যাংককে সেরা ব্যাংক হিসেবে পুরস্কৃত করে। ১৯৮৫ সালে ইসলামী ব্যাংক জাতীয় রপ্তানি মেলায় সার্ভিস অর্গানাইজেশন প্যাভিলিয়নের জন্য দ্বিতীয় পুরস্কার লাভ করে।
ইসলামী ব্যাংক ইসলামী শরীয়াহর আলোকে মুদারাবা, মুশারাকা, বাই-মুরাবাহা, বাই মুয়াজ্জাল, বাই-সালাম এবং হায়ার পারচেজ-এর ভিত্তিতে ব্যাংকিং ব্যবসা ও লেনদেন সম্পাদন করে। এছাড়া ব্যাংক কোম্পানি আইনের অধীনে শরীয়াহ বোর্ডের সুপারিশ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন অনুযায়ী যাবতীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকিং সেবাও প্রদান করে। ব্যাংকের আমানত স্কীমসমূহের মধ্যে মুদারাবা সঞ্চয়ী আমানত, মুদারাবা বিশেষ নোটিশ আমানত, মুদারাবা মেয়াদি আমানত (৬ থেকে ৩৬ মাস মেয়াদি), মুদারাবা হজ্জ সঞ্চয়ী আমানত, মুদারাবা বিশেষ সঞ্চয়ী (পেনশন) আমানত এবং মুদারাবা সঞ্চয়ী বন্ড (৫ থেকে ৮ বৎসর মেয়াদি) উল্লেখযোগ্য। ব্যাংকটির বিনিয়োগ স্কীমসমূহ হচ্ছে মুনাফায় অংশীদারিত্ব, যৌথ প্রকল্পে মূলধন বিনিয়োগ এবং স্থাবর সম্পত্তি, গৃহায়ন, পরিবহন, কৃষি, আমদানি-রপ্তানি, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক খাতে অর্থসংস্থান।
২৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিচালক পর্ষদ ব্যাংকটির সার্বিক কার্যক্রমের তদারকি করে এবং এর নীতি নির্ধারণ করে। ব্যাংকের কার্যক্রম ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী পরিচালনার জন্য একটি ১০ সদস্যবিশিষট ‘শরীয়াহ কাউন্সিল’ আছে। ২০০৯ শেষে ব্যাংকের মোট শাখা ২৩১টি এবং ৫৯৩০ জন কর্মকর্তা এবং ৩৬৫৮ জন কর্মচারীসহ মোট জনশক্তি ৯৫৮৮ জনে দাঁড়ায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্যামেল রেটিং হিসাব মতে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের নগদ জমা অর্থের পরিমাণ বেশি। লন্ডনভিত্তিক পাক্ষিক পত্রিকা ‘গ্লোবাল ফিন্যান্স’ ১৯৯৯ ও ২০০০ সালে ইসলামী ব্যাংককে সেরা ব্যাংক হিসেবে পুরস্কৃত করে। ১৯৮৫ সালে ইসলামী ব্যাংক জাতীয় রপ্তানি মেলায় সার্ভিস অর্গানাইজেশন প্যাভিলিয়নের জন্য দ্বিতীয় পুরস্কার লাভ করে।
[মোহাম্মদ আবদুল মজিদ - বাংলাপিডিয়া]