প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ

প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংক। ১৯৯৯ সালের ২৬ অক্টোবরে ২২ উদ্যোক্তার ১০০ মিলিয়ন টাকার পরিশোধিত মূলধন নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ব্যাংকের ১৪ জন উদ্যোক্তার মধ্যে একজন নিউজিল্যান্ডের নাগরিকও আছেন। ২০০৯ সালের শেষে ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ৬০০০ মিলিয়ন টাকা ও পরিশোধিত মূলধনের পরিমান ২২৪২ টাকায় উন্নীত হয়েছে। ব্যাংকটি সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে নিবন্ধিত এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ-এ তালিকাভুক্ত।

১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিচালনা পর্ষদের ওপর ব্যাংকটির সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ও নীতি-নির্ধারণের ক্ষমতা ন্যস্ত। ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ৩ জন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, ৩২ জন সিনিয়র নির্বাহী সহ মোট ৮৯৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তায় ব্যাংকটির দৈনন্দিন ব্যবসায়িক ও প্রশাসনিক কার্যাাবলি পরিচালনা করেন। ৩১ ডিসেম্বর ২০১০ পর্যন্ত ব্যংকটির মোট শাখার সংখ্যা ৪৭। প্রচলিত সবধরনের বাণিজ্যিক ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি ব্যাংকটি ঢাকা ও সিলেটের ২টি শাখায় ইসলামি ব্যাংকিং এবং ঢাকায় ৫টি এসএমই শাখা চালু করেছে।

সাধারণ ব্যাংকিং ছাড়াও প্রিমিয়ার ব্যাংক মার্চেন্ট ও বিনিয়োগ ব্যাংক হিসেবে তাদের কর্মকান্ড পরিব্যপ্ত করেছে। মাস্টার কার্ড প্রচলনের পাশাপাশি প্রিমিয়াম ব্যাংক গ্রাহকদের অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধাও দিচ্ছে। ‘ইভনিং ব্যাংকিং’ এর সুযোগ এই ব্যাংকটির একটি কাসটমার রিলেশনস উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি। বৈদেশিক মূদ্রা লেনদেন ব্যবসায় সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনলাইন সার্ভিস সাবস্ক্রিপশনসহ স্যাটেলাইটভিত্তিক যোগাযোগ সংস্থাপন এবং  ৪৩৯টি বিদেশি সহযোগী সংস্থার সাথে যোগাযোগ চুক্তি রয়েছে ব্যাংকটির। প্রিমিয়ার ব্যাংক এসএমএস ব্যাংকিং সার্ভিস চালু করে ২০০৬ সালের ৩০ জানুয়ারি। মোবাইল ফোন থেকে এসএমএস-এর মাধ্যমে গ্রাহক যেকোন সময় যেকোন স্থান থেকে তার যাবতীয় ব্যাংকিং ইনফরমেশন আদান-প্রদান করতে পারে।
[মোহাম্মদ আবদুল মজিদ - বাংলাদেশ]